প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার (৮ আগস্ট)। দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।'
-বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বঙ্গবন্ধু তাকে এ নামেই ডাকতেন। তার পিতার নাম শেখ জহুরুল হক এবং মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। তিনি ৫ বছর বয়সেই পিতামাতা হারান। দাদার (শেখ কাসেম) ইচ্ছায় শিশু বয়সেই চাচাতো ভাই শেখ মুজিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রেণু। এরপর থেকেই তিনি ছিলেন জাতির পিতার আমরণ সঙ্গী। এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সপরিবারে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খুনি চক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
-তার অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মায়ের জীবনে কোনও চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের জন্য কোনোদিন কিছু চাননি। আমরা শুনিনি তিনি কোনও আবদার করেছেন। তার নিজের যেটুকু ছিল, সবই তিনি বিলিয়ে দিতেন। দলের জন্য, মানুষের জন্য, গরিব আত্মীয় পরিবার-পরিজনের জন্য।' মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার জীবন থেকে শুধু আমাদের দেশেরই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীরাও এই শিক্ষা নিতে পারবে যে কীভাবে একটি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন উল্লেখ করে কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি মনে করি, আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু নয়, পৃথিবীর অনেক মেয়েরাই তার জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারবে।'
আজ 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের' ৯২তম জন্মবার্ষিকী
-বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ নারীকে 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২' প্রদান করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে আওয়ামী লীগ। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে 'বাঙালি মহীয়সী নারী শহীদ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব' শীর্ষক আলোচনা সভা এবং প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করবে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। একই সময়ে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে দলটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি। সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা করবে যুবলীগ, ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মহিলা আওয়ামী লীগ বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সেলাই মেশিন বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
'আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।'